শনিবার, ২৬ জুন, ২০১০

তিনি আমার ছড়াকবিতার ব্যাপারে জ্ঞানগর্ভ যা যা বললেন : রম্য ও কুইজ

তিনি আমার ছড়াকবিতার ব্যাপারে জ্ঞানগর্ভ যা যা বললেন : রম্য ও কুইজ

২২ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৩:৩৬

শেয়ার করুন: Facebook


আমি: তুই কোথায়? অনেক দিন ধরে এ্যাবসেন্ট। মরার আগে প্লিজ জানাবি, কারণ, আই কেয়ার...
তিনি : থ্যাঙ্কস এ লট। হোয়াট হ্যাপেনস ইফ আই ডোন্ট ডাই সুন? হোয়াট ইফ আই ডোন্ট রিয়ালাইজ আই এ্যাম ডাইং বিফর ডাই? থ্যাঙ্কস ফর ইয়োর কেয়ার। সো নাইস অফ ইয়্যু।
আমি : If you don't die soon, say if you live for another 12 decades, I shall vanish and re-appear once after twelve years to see you only, then again disappear. What if it doesn't strike you.
তিনি : বাংলা কী?
আমি: বাংলা কী মানে? মনে নেই, সেদিন বলেছিলাম:
ভুলে যাবি তুই? যা না!
দুই যুগ পরে হঠাৎ এসে তোর বুকে দেব হানা!
তখন করবি কী তুই-
আবার যদি যাই হারিয়ে ফেলে এ বিশ্ব-বিভূঁই?

তিনি : আপনি যে কী বলেন, আমি বুঝি না। আপনার ভাষা না নদীর মতো, না বাতাসের মতো, না রৌদ্রের মতো... বুঝবো কী করে? আপনি কি নেহাল?
আমি : আমার ভাষা কি খুবই হিব্রু? Greek and Latin?
তিনি : না, না, তা বলছি না। বলছি নেহালের ভাষা এমন শিশুতোষ... বালক বালক।
আমি :
আমার ভাষা করাতের মতো যদি হতো, তোর বুকের অন্তর্গত
করে দিতাম এক লক্ষ ক্ষত।

তিনি : ভাবগুলো আমাদের ঢাকার বাসার দারোয়ান আর বুয়াদের মতো। ওরা খুব তুই-তোকারি করে নিজেদের মধ্যে কথা বলতো।
আমি : দারোয়ান আর বুয়ারাই করে সবচেয়ে বেশি সুখ, কারণ ওদের রোমান্স করার কৌশলটা সবচেয়ে খাঁটি ও মূলক।
তিনি : তাই, না?
আমি : That's, coz, they get closest to each other's heart than others can do.
আমি : জানি না তো... মেলাচ্ছি কেবল আপনার ভাষা ও ভাব আমার পরিচিত কার কার সাথে মেলে... এটা একটা তুলনামূলক স্টাডি।
আমি : Please go ahead with your study.
তিনি : আপনি কি অনেক জানেন, নাকি আন্দাজে-অনুমানে বলে যাচ্ছেন?
আমি : Question is not clear. অনেক কী জানি আপনার ব্যাপারে?
তিনি : দারোয়ান সাহেবদের সব কথোপকথন শুনতে পাই নি, শোনা উচিতও নয়... তাই না?
আমি : একটা কবিতার লাইন শুনুন।
তিনি : বলুন।
আমি :
মুঠোফোনে তুই আজ ফুটালি যে ফুল-,
নয়নে জাগালো নেশা, রক্তে হুলস্থূল।

তিনি : নেহালমার্কা ছড়া। কবিতা কি হলো?
আমি :
কাল রাতে যা দিয়েছিলি, আজ সকালেই তা শেষ।
মুঠোফোনের অভিসারে
দিনে কি আর পাবো তারে, রাত হলো যার শেষ?

তিনি : খুব বালক। আপনার বয়স কতো?
আমি :
ঠিক কোথায় তুই আঘাত পেলি, বল্,
আমি তো তোর আনন্দ-কুসুম, কবিতা, চোখের জল।
আমি তোর বক্ষে দিব ব্যাধি,
তোর বক্ষ-সুধা আমার অমৃত ঔষধি।

তিনি : অনেক সময় নষ্ট হলো। ইউজলেস। গল্প লিখুন বরং।
আমি : তোমার বয়স যতো তার চেয়ে অন্তত সাতটি মাস আগে আমার জন্ম হয়। Better you be my teacher for literature. Age is no factor. সময় তো আমার নষ্ট হয় নি এক দণ্ডও।
তিনি : না এটা সনেট, না কবিতা... ছড়ার আবেদনও নেই... ছড়া কাটার জন্য স্বভাবটাও বালক হলে ভালো।
আমি : গুণ সাহেবের কবিতা পড়ে মনে হয় ও-বেটা পুরো জীবনটাই নষ্ট করেছেন কবিতা লেখার চেষ্টা করে। কিন্তু হায়, কিছুই হয় নি, না কবিতা, না সনেট, না ছড়া। বেচারা!
তিনি : কী? কার কথা বললেন?
আমি : কবি গুণ। নির্মলেন্দু গুণ।
তিনি : উনার কোন্ কোন্ কবিতা আপনার কাছে ছড়ার মতো মনে হয় তা লিখে পাঠাবেন কাইন্ডলি... ই-মেইল করলে ভালো।
আমি : এখানে তো কয়েকটা বললাম, ছড়াগুলো কি কিছু হয়েছে? কী মনে হয় আপনার?
তিনি : ভালো লাগে নি আমার... খুব সম্ভবত আমি অন্য মুডে আছি। যাক গে, যান, পড়াশুনা করুন, অথবা ইয়াং মেয়েদের সাথে গল্প করুন... আপনার ক্রিয়েটিভিতে বসন্ত আসবে।
আমি : হুম, আপনি খুব অভিজাত ঘরানার ভাবনার অধিকারী।
তিনি : ‘অভিজাত ঘরানার’ মানে?
আমি : অর্থাৎ আপনি রবিঠাকুর আর আমি আপনার শরৎ বাবু, আপনি আমার জন্য লিখুন, আমি ওটাকে ট্রান্সলেট করে পাবলিকের জন্য লিখবো। যেমন জসীম উদ্‌দীন করতেন। আর যেমন করছেন হুমায়ূন আহমেদ।
তিনি : কী করতেন?
আমি : এই দেখেন না, কতো সহজ করে ফেলেছেন তিনি বাংলা সাহিত্য।
তিনি : তাই?
আমি : তবে কথা হলো, ‘সহজ করে যায় না বলা সহজে।’ তাই অনেকে জেলাস হয়ে ওঠেন।
তিনি : (আবারো) তাই?
আমি : Are you cooking and messaging? Or something else is cooking in your head?
তিনি : আমার আজ রান্না নাই!
আমি : আজ তবে কে রাঁধিবে, রাধে?
তিনি : হুমায়ূন আহমেদকে হিংসা কেন করে লোকে? উনি তো বাংলাদেশের পাঠকদের ধরে রেখেছেন দেশে। অনেক প্রকাশনা উনার কারণে গজিয়েছে। আর মানুষ তো উনার অবদান স্বীকার করেন।
আমি : Never utter in front of our scholars (?). আমার এক ফ্রেন্ড লুকিয়ে হুমায়ূন আহমেদের বই পড়ে, পাছে লোকে বলে, ও ক্লাসিক বইয়ের টেস্টই বোঝে না, এই ভয়ে।
তিনি : কেন বলবো না? উনি অনেক হালকা লেখাও লিখেছেন, তাতে অনেকে মনক্ষুন্ন, কিন্তু চাইলে উনি উনার মতো করে আবার গভীর লেখা লিখতে পারেন। আমার বোধে যেটা সত্য, যতোটুকু বুঝি ও দেখি, বলবো না?
আমি : I am really enjoying chatting with you. Although we have a little contradictions in our thoughts and opinions, still it's pleasurable. You can attract people by your intellects.
তিনি : বাংলাদেশে ফুলটাইম লেখক হয়ে বাঁচা যায়, উনিই একমাত্র তা প্রমাণ করেছেন... কিন্তু উনার পারসোনাল লাইফ নিয়ে অনেকে বিব্রত বোধ করেন। এটা যার যার ব্যাপার।
আমি : হু ইজ মিস্টার নেহাল?
তিনি : জানি না... তবে লেখার ঢং আর ভাবের জোয়ার দেখে বুঝি কে কোন্‌টা। আমার কাছে তো সবাই মাছের পোনা।
আমি : What is it? মাছের পোনা জিনিসটা কী?
তিনি : সবাই একরকম। কে যে কী জাত আপাত দৃষ্টিতে বোঝা যায় না... ইলিশের পোনা আর রুইয়ের পোনা আর কইয়ের পোনা আর ব্যাঙাচির পোনা... মিলেমিশে উপস্থিত হলে আমি কাউকে আলাদা করে চিনি না।

উপরের কনভারসেশনে নির্মলেন্দু গুণের কিছু ছড়া-কবিতার উল্লেখ রয়েছে, তিনি’র মতে যা কিছুই হয় নি। কেউ কি পারবেন ওগুলো আলাদা করতে?


প্রকাশ করা হয়েছে: কবিতা, ধাঁধা ও কুইজ বিভাগে ।


  • ১০ টি মন্তব্য
  • ৬৫ বার পঠিত,
আপনি রেটিং দিতে পারবেন না
পোস্টটি ৪ জনের ভাল লেগেছে, ০ জনের ভাল লাগেনি
১. ২২ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৪:০৭

সাদিক সাদাত বলেছেন: যদিও কবিতায় আমার বিশেষ আসক্তি নাই এবং কবিতা সম্পর্কে আমার জ্ঞান স্কুল জীবনের পাঠ্য পুস্তকের বাইরে প্রায় শূণ্যের কাছাকাছি তবুও আপনার সাবলীল লেখা ভালো লাগল ।

২২ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৪:১২

লেখক বলেছেন: আপনার কমপ্লিমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

উপরের কনভারসেশনে নির্মলেন্দু গুণের কিছু ছড়া-কবিতার উল্লেখ রয়েছে, তিনি’র মতে যা কিছুই হয় নি। আপনি কি পারবেন ওগুলো আলাদা করতে?
:):):)



২২ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৪:৩৫

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ ধন্যবাদ :):)



২২ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৪:৪২

লেখক বলেছেন: আপনি পারবেন না তা কখনো হয় না:):)



২২ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৫:০৪

লেখক বলেছেন: অভিনন্দন!!!!!!!!!!



২২ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৫:১১

লেখক বলেছেন: একজন অতি কাছের মানুষ আমাকে যতোবারই কল করে মোবাইলে, তার প্রতি আমার প্রথম দুটি প্রশ্ন থাকে কমন : কে তুই? তোর পরিচয় কী? প্রশ্ন শুনে সে হেসে কুটি কুটি হয়; আর ওর এমন নির্মল কুটিকুটির জন্যই আমি এ প্রশ্ন দুটি করে থাকি। ও কয়েকদিন আগে বললো, আমার এ প্রশ্ন দুটিই নাকি ওর কাছে সবচেয়ে মজার প্রশ্ন, এবং প্রশ্ন শুনবার জন্যই আমাকে সে মোবাইলে ফোন করে থাকে:):):):)


কীসের মধ্যে কী বলে ফেললাম
:):) যাই হোক, আপনার 'পুত্তুম পিলাচ' এখন অন্যের দখলে কেন, স্যার?
:)
:):):)



Link




একটা কবিতার গোড়াপত্তন

১৩ ই জুন, ২০১০ রাত ১:৩৫

শেয়ার করুন: Facebook

আমাদের ছোটবেলায় পদ্মা নদী খুব উত্তাল, বিশাল ও ভয়াবহ ছিল। নদীপাড়ে দাঁড়িয়ে বাবাকে জিজ্ঞাসা করতাম, ‘বাবা, গাঙের কি ঐ পাড় নাই?’ বাবা হেসে জবাব দিতেন, ‘আছে। অনেক দূরে। দেহা যায় না।’
আমি তখন গাঙের বুকে পালতোলা নাওয়ের দিকে চেয়ে চেয়ে ভাবতাম, আহা, একদিন যদি ঐ পাড়ে যাইবার পারতাম!
কলেজবেলায় গ্রামে গিয়ে মাঝে মাঝে পদ্মাপাড়ে যেতাম বন্ধুদের সাথে বেড়াতে। পদ্মা ডুবে গেছে চরের বালুতে। কলাপাতায় সবুজের ঢেউ দেখি, আর শুকনো তীরে দাঁড়িয়ে দেখি পদ্মার বুকে সাদা বালু খাঁ-খাঁ করছে। চিকন খালের মতো মরা নদী বুড়ির মতো ধুঁকে ধুঁকে হেঁটে যাচ্ছে যেন।

অনেকদিন পর দেখা।


গুলিস্তান থেকে শুরু। বাবু বাজার ব্রিজ কিংবা পোস্তগোলার চীনমৈত্রী সেতু পার হয়ে ঢাকা-মাওয়া সড়ক ধরে চলতে থাকুন।

শ্রীনগর।
সদর পার হয়ে কামারগাঁও ছাড়িয়ে শাইনপুকুর।
দোহার উপজেলা শুরু।
কিছুদূর গিয়ে নারিশা। ছোটবেলায় এখানে অনেক এসেছি। ছোট চোখে নদীর ঐ পাড় ধু-ধু করতো। কলেজবেলায় এখানে ধু-ধু বালুচর।

আজ।

নারিশা গ্রাম ভেঙে ডুবে যাচ্ছে নদীগর্ভে। গ্রামবাসীর প্রাণান্ত চেষ্টা তা প্রতিরোধে।

গাড়ি থামিয়ে নেমে পড়ি। পাড়ে দাঁড়িয়ে দেখি ওপাড়ে সূর্য পাটের উপরে, স্রোতোময়ী পদ্মার শরীরে ঢেউয়ের ভাঁজে ভেঙে পড়া রোদ চিকচিক করছে।


এই পথে, একটু দূরে প্রমীলাদের বাড়ি। স্কুলজীবনে শুধু প্রমীলার সাথে কাকতালে দেখা হবার সম্ভাব্যতায় এখানে ঘোরাঘুরি করতাম। আর আছে সায়ন্তনীদের বাসা। ওর মতো সুন্দরী মেয়ে আমার চোখে আর একটাও পড়ে নি আজও। মিনাদের বাড়ি আর ইমরানদের বাড়ি পাশাপাশি। মিনার সাথে মাঝে মাঝে কথা হয়। ইমরান বাবা হয়েছে বছর দুই আগে, ও এ-খবর দিয়ে হাওয়া হয়ে গেছে।


আর সোহানা? রাতুলের ছোট ফুফু সোহানা। আমরা এক ক্লাসে পড়ি। স্কুলজীবনের পর ওর সাথে আর দেখাই হলো না। প্রমীলা বলে, ‘সোহানার দিনে দিনে বয়স কমে।’ শামীম ওর সাথে প্রেম করতো। ওদের দু পরিবারে অহিনকুল পরিস্থিতি সারাজীবন। ও-বাড়ির মেয়ে এ-বাড়িতে? এ-বাড়ির ছেলে ও-বাড়িতে? পৃথিবী উলটে গেলেও না। এসএসসির পর পর ওর বিয়ে হলো এক মনোবিজ্ঞানীর সাথে। রাতুলের সাথে দেখা করতে গেছি; এগিয়ে এলো ভুবনমোহিনী সোহানা ওর হৃদয়হরা হাসির ঝিলিক ছড়িয়ে।

‘তুই না খুব চিকন আছিলি? মাত্র কয় মাসেই এতো মোটা হইয়া গেছস?’ আমার কথা শেষ হবার আগেই, ‘স্টুপিড!’ বলে এক ঝামটায় আমার গাল টেনে দিয়ে পৃথিবীকাঁপানো একটা হাসি হেসে ঘাড় বাঁকিয়ে বেণি দুলিয়ে চলে গেলো সোহানা। ওর সেই হাসি চোখের সামনে ভাসে, ওর কথা মনে হলেই।
আমাকে ভর্ৎসনা করে রাতুল বলেছিল, ‘তুমি এতো বোকা কেন? ও প্রেগন্যান্ট হইছে বোঝো না?’

আরো অনেকে। শাপলা। ঝিনুক।


একেকটা মেয়ে একেকটা অনবদ্য কবিতা, ভিন্ন ভিন্ন রস ও স্বাদের। এই দেখুন, কোনো ছেলের নামই মাথায় আসছে না এখন। আমরা মেয়েদের কথা বেশি মনে রাখি; ওরা আমাদের নিয়ে কী ভাবে তা জানতে খুউব খুউব সাধ হয়। আমার মতো সবগুলো ছেলেই হয়তো এমন করেই সবগুলো মেয়ের কথা ভাবে। আর মেয়েগুলো? ওরা মনে হয় আমাদের আর মনে রাখে না। আমরা যেমন বউয়ের চোখের দিকে তাকিয়ে আর তার বুকের উপর শুয়ে একবার হলেও ওদের প্রত্যেকের কথা ভাবি, ওরা কি স্বামীর বুকে মাথা রেখে একটি মুহূর্তের জন্যও মনে করেছে আমাদের কথা? আমার কথা? ওরা খুব স্বার্থপর। ওরা স্বামীদের সাথে বেইমানি করে না, আমরা যেমন বউদের সাথে করি। ওরা নয় প্রেমিকা, নয় বান্ধবী। ওরা আমাদের কেউ না।


একদিন আমাকে অবাক করে দিয়ে প্রমীলা বলেছিল, ‘তোরা এতো নিষ্ঠুর কেন রে? তোদের কথা ভেবে ভেবে মরি... ।’ তারপর ওর কণ্ঠ গলে যেতে থাকে, করুণ ফিসফিসে স্বরে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলে, ‘তোর কথা কতো ভাবতাম... খুব নিষ্ঠুর রে তুই!’

আমি যখন পদ্মার গভীর থেকে স্কুলবান্ধবীদের ছিনিয়ে নিয়ে আসছিলাম, দেখি আমার সরলা বউ আর সন্তানেরা উজ্জ্বল ঢেউয়ের দিকে তাকিয়ে আনন্দে ঝলমল করছে।

এখানে একটা কবিতার ভাব জাগে। সর্বপ্রথম যে শব্দটা মাথায় টোকা বা উঁকি দিল, সেটা হলো- ‘দিধিষু’। কবে কোথায় এই শব্দটা পড়েছিলাম মনে নেই। অর্থটাও ততো পরিষ্কার নয়। কিন্তু ‘দিধিষু’ দিয়েই কবিতা শুরু করি।


দিধিষু শরীর নদীর বিভায় ঘুমিয়ে পড়ে পাখিদের অগোচরে। জলের জোনাকিরা কোমল বাতাসে ভেঙে ভেঙে মাছের সারিতে মিশে যায়।


এই হলো কবিতা। এর কী অর্থ দাঁড়ায় তা জানি না। আদতে এর কোনো অর্থ নেইও। সব কবিতার অর্থ থাকে না।


অহনার সাথে যদি আবার আরেকদিন, কালের স্রোতে ভাসতে ভাসতে কোনো এক চরের কন্দলীবনের হরিৎ ছায়ায় অলৌকিকভাবে দেখা হয়ে যায়, এ দু চরণ কবিতা ওকে শোনাবো। এ কবিতা শুনে সে যারপরনাই খুশি হবে; খুশির ঘোরে বহুক্ষণ কেটে যাবে, তারপর যথাস্বভাবে বলবে, ‘এবার এর অর্থটা আমাকে বুঝিয়ে বল্।’

আমি অহনাকে অতি চমৎকারভাবে কবিতাটার অর্থ বুঝিয়ে দেবো। সে বিস্ময়ে ডগমগ হয়ে শুধু এ কথাটাই বলবে, ‘তোর মতো কবি হয় না রে পাগল; তুই একদিন অনেক বড় কবি!’

২৩ এপ্রিল ২০০৯

প্রকাশ করা হয়েছে: যা কিছু আমার বিভাগে ।


  • ১২ টি মন্তব্য
  • ৮৬ বার পঠিত,
আপনি রেটিং দিতে পারবেন না
পোস্টটি ৪ জনের ভাল লেগেছে, ০ জনের ভাল লাগেনি
১৩ ই জুন, ২০১০ সকাল ১১:০৭

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।



১৩ ই জুন, ২০১০ সকাল ১১:০৭

লেখক বলেছেন: চোখের পানি মুছে ফেলুন:)



৩. ১৪ ই জুন, ২০১০ রাত ৯:৩৪
১৫ ই জুন, ২০১০ রাত ১০:৫৫

লেখক বলেছেন: আপনার মুখে ফুলচন্দন:):)



৪. ১৮ ই জুন, ২০১০ দুপুর ১২:১৭

মেহবুবা বলেছেন: আশ্চর্য সুন্দর ।
পুরোটাই কবিতা ।

মিথ্যা - সত্য মাখামাখি যেমন " ওরা খুব স্বার্থপর। ওরা স্বামীদের সাথে বেইমানি করে না, আমরা যেমন বউদের সাথে করি। ওরা নয় প্রেমিকা, নয় বান্ধবী। ওরা আমাদের কেউ না। " আবার সত্যি হতে পারে যেমন " ওরা আমাদের কেউ না " ।

অনেক কিছু লিখতে ইচ্ছে করছে । পরে লিখব ।


১৮ ই জুন, ২০১০ দুপুর ১২:৪৩

লেখক বলেছেন: হ্যালো নানী, কেমন আছেন?:):):) আপনার মন্তব্যে উচ্ছ্বসিত ও অনুপ্রাণিত হলাম খুব। সত্যমিথ্যা মাঝে মাঝে একাকার হয়ে যেতে পারে, মানলাম। পরে লিখবেন বললেন- আশায় থাকলাম।



৫. ১৮ ই জুন, ২০১০ দুপুর ১২:৪৭

মেহবুবা বলেছেন: দোহার জয় পাড়া পদ্মা নদী ইছামতী বান্দুরা নষ্টালজিক করে দিয়েছো নাতি ।
অটপিক -- মোর্শেদ স্যার কি বেঁচে আছেন ?


১৮ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৩:০২

লেখক বলেছেন: নানী, আপনার বাড়িও কি ওদিকে? নাকি ওদিকে বেড়ানোর অভিজ্ঞতা আছে?

মোর্শেদ স্যারের খবরটা অবশ্য জানা নেই। আল্লাহ্‌র কাছে প্রার্থনা করি, তিনি বেঁচে আছেন এ খবরটাই যেন পাই।



১৯ শে জুন, ২০১০ ভোর ৪:১৫

লেখক বলেছেন: খবর ভালোই। খেলা দেখছিলাম আর কী:):)





Link






কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন