০৭ ই মার্চ, ২০০৯ বিকাল ৫:২৬
এবার ছুটি নেব তিনদিন, তারপর ঘুমাবো না
অসম্ভব ব্লগাবো আর বউয়ের হাতে খাবো তিনবেলা ক্ষীর
অনেকের সাথে খুব কষাকষি- এই ফাঁকে মেটাবো সকল বনিবনা
সবকিছু দেখেশুনে 'ক্ষেপিয়া গিয়াছি', এবার মনকে চাই সুবোধ-সুস্থির।
তুমি যদি ভালোবাসো সন্ততির ঘেঁষাঘেষি, আলাভোলা আটখানা হাসি দিনভর
একবেলা ঘুরে যেয়ো গরীবের ঘরে, সহচর।
আমার ভুলের সাজা দিও তুমি আপন দু হাতে
তারপর বাকি বেলা পাশাখেলা তোমাতে-আমাতে।
তুই যদি
০৮ ই মার্চ, ২০০৯ বিকাল ৩:২২
তুইতো বউ হলি না, হলি না প্রেমিকাও
সম্পর্ক আর অসম্পর্কের মাঝগাঙে তোর নাও
গৃহের ধ্যানে গুটিয়ে গেছিস; আমিও তাই
গৃহেই জ্বালি তোর রোশনাই
বউকে প্রেম দিই, যার চেয়ে ঐশ্বর্য কিছু নেই
তোকে দিই মুহূর্তকবিতা, না চাইতেই
না-চাওয়া ফল খায় না কেউ সুমিষ্ট নয় বলে
জানি, তুইও এসব ফেলেই দিবি; দলবি পদতলে।
২৩ আগস্ট ২০০৮
তোমার নির্দেশ
১০ ই মার্চ, ২০০৯ সকাল ৯:২৩
তুমি কি নজরুল হবে? কিংবা সুকান্ত?
রবীন্দ্রনাথও বাঁচবেন আর বড়জোর দুশোটি বছর
ঈশ্বরপূর্ব কজন কবিকে মানুষ রেখেছে মনে?
অতঃপর অচিরেই তুমিও নিমজ্জিত ইতিহাস
তুমি তো মাইকেল হবে না, অথবা জীবনানন্দ দাশ।
এতো লিখো না
কী কাজ প্রতিদিন মহাকাব্য লিখে?
সপ্তাহে একটি কবিতা অনেক বেশি
মাসে একটা সংযম প্রকাশ
ভালো হয় এক বছরে একটাই
সবচেয়ে ভালো সমগ্র জীবনে একটি কবিতা
তুমি লিখো, যা পড়ে তোমায় আমার
কবি জ্ঞান হবে।
এতো লিখো না ছাইপাশ
লেখনিরও বিশ্রাম চাই, মস্তিষ্কে নিয়মিত সার
সঙ্গমেও যেমন থাকা চাই সাপ্তাহিক ছুটির দিন
আর শোনো
আমায় নিয়ে কবিতা লিখো না আর কোনওদিনও।
০৩ আগস্ট ২০০৮
সে আর আসবে না
১৯ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ৯:৪১
সে আর আসবে না
এক কষ্মিনকাল ডুবে গেলেও পদ্মার পললে
পাহাড় ভেঙে ভেঙে আকাশ আরও ক্ষয় হলেও
সূর্যাস্তে হারিয়ে যাওয়া দিনের তারার মতো
নিভেছে তার মুখ
রাতের শুরুতে।
আমি তার দু:খ জানি না
আমি তার জানি না অভিমান
আমি তার কুশল জানি না
আমি তার ঠিকানা জানি না আজও
ধূলোর শরীরে চরণচিহ্ন নষ্ট পাখির
ছায়ার মতন স্মৃতিরা লুটোয় অন্তরালে
রঞ্জনরেখায় ভুলের এপিটাফ
তার আলোয় ভাসবে না
সে আর আসবে না।
কী কী কারণে বউ বা প্রেমিকাকে ভালোবাসেন!!
২৮ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ৮:০৬
বউ বা প্রেমিকাকে কেন ভালোবাসেন তার এক হাজারটা কারণ খাতায় লিখে ফেলা সম্ভব। এটা করবেন না, তাতে আপনার ভালোবাসা বা ভালোলাগার কারণগুলো সীমিত হয়ে গেলো। ভালোলাগার কারণগুলো সংখ্যায়িত করা যায় না; কোনো নির্দিষ্ট কারণে ভালোবাসেন না; ভালোলাগার মূল কারণগুলো অনেক সময় খুঁজেও পাওয়া যায় না, এতোটা অজ্ঞাতবাসী।
‘তোকে ছাড়া আমি বাঁচবো না’, অহনা এক দিবসে এ কথাটা আমায় একশত বার বলতো। ‘কেন আমায় এতো ভালোবাসিস, তার তিনটি কারণ আমায় বল্ তো সোনা’, আমি খুব আগ্রহ নিয়ে ওর কাছে এক দিবসে একশত বার এর উত্তর জানতে চাইতাম। জানার জন্য আমি যতোই অস্থির হয়ে উঠতাম, অহনা ততোই শান্তসৌম্য ভাব নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে থাকতো।
তিন বছরের মাথায় অহনা ওর এই ‘ভালোবাসা-দর্শন’ আমাকে জানালো; তারপর আমাকে পাগলের মতো এতো ভালোবাসার একটা কারণও না জানিয়ে চলে গেলো।
দেয়াললিখন; দ্রোহকথা
০১ লা এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৯:৩৯
তুমি লেখো আর ভাবো, রোজ রোজ আমি গিয়ে গোপনে পড়ে আসি তোমার দ্রোহকথা
জেনে রাখো, আমিও লিখে রাখি দেয়ালে দেয়ালে তোমার ইতিহাস, রোজকার কৃতঘ্নতা
সন্ধির কথা বলে বহ্নিতে ঘৃত ঢালো, এ তোমার জন্মজাত কুটিল স্বভাব
তারপর আহাজারি, শুরু হয় ডিপ্রেশন, লোকদেখানো দাহ-অনুতাপ
তুমি কি ছিনাল তবে? তার চেয়ে ভালো হতো, হতে যদি পথের সারমেয়
আকাশে ছিটিয়ে থুথু আমার কী করো ক্ষতি? নিজেকেই করো তুমি হেয়
সঞ্জীবনী
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:১৭
তোমার সান্নিধ্যে ফোটে অপার্থিব পরকীয়া ফুল
সঙ্গমমুখর আগুন ও হলাহলে
পুংসক জীবনে নিয়ত সঞ্জীবন
চাঁদের কৌলীন্যে সঙ্গম দাও তুমি
অমোঘ বিনোদে ঘন হয় বিদগ্ধ নেশা
গোপনে নদীর মনে গলে যায় নিজঝুম ঢেউ
তারপর কিছুই থাকে না মন ও শরীরে
দু:খিনী মেয়েটার কথা
১০ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১২:১২
মেয়েটা দু:খিনী খুব
তীব্র ডিপ্রেশনে রোজ রোজ সে কাঁদে
আর ভালোবাসা সাধে
একদা তুফানের কালে ডেকে নিয়ে শয্যায়
রাতভর অপূর্ব সঙ্গম দিল সুনিপুণ দক্ষতায়
সেই ছিল শুরু
এখন আর সে কাঁদে না, ভালোবাসাও সাধে না
অন্ধকারে দাঁড়িয়ে থাকে আশ্চর্য এক হাসনাহেনা
আবার দেখা হবে
১৫ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১১:২৩
জন্ম
সংসার
প্রাত্যহিক অস্থৈর্যে
আমাকে
নিয়ত সংকেত জানায় বিভাসিত সমুদ্রের ঢেউ
তোমাকে-না-পাওয়া পুরোটা জীবন
জ্বলন্ত চলায় ছাই হয়ে গেলো
আর শোনো, ছাইকণাদল
তোমার নামে অনর্গল
জপিছে ‘'আনাল হক’
আল্লাহ্র আরশে
তোমার একমুঠো ছোঁয়ায়
ভিজিয়ে নিতে বিখণ্ডিত আত্মারে
পৃথিবীর দোজখে গুনছি প্রহর
দেখা তো হবেই সুনিশ্চিত
কবিতার মেয়ে
২০ শে এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ১২:৩০
প্রতি সন্ধ্যায় আমার শণের কুটিরে সে আসে
হাসনাহেনার তীয়র অন্ধকার তার গায়; আমি তার শরীর দেখি না, সুরভি দেখি
'কবিতা পড়ো' : গভীর অনুজ্ঞায় বসতে বসতে করুণ চৌকাঠে
বিমূর্ত মহিয়সী
আমি তাকে পড়ি আর তার কবিতা; মূলত সমগ্র সত্তা ও প্রেমের প্রতীতি
কবিতার ভেতর তাকে বেঁধে নিই দিঘল প্রসাদে
নিজ্ঝুম সে বসে থাকে, স্মিত ওষ্ঠে তৃষ্ণার কণারা শব্দতরঙ্গে অন্ধকার
তারপর কবিতা পাঠের শেষে
যাবার বেলা সুমিতকণ্ঠী এটুকুই বলে : হয় নি
আমি তো কবিত্ব চাহি না সন্ন্যাসিনী; তোমার সকাশে শুধু অনুজ্ঞা চাহি
পউমচরিউ : মহাকবি স্বয়ম্ভূদেব
০২ রা মে, ২০০৯ রাত ১০:৪৪
বু হয়ণ সয়ম্ভূ পঁই বিন্নবই।
মহু সরিসউ অণ্ন ণাহি কুকই।।
বায়রণু কয়াই ণ জাণিয়উ।
ণউ বিত্তি-সুত্ত বক্ খাণিয়উ।।
ণা ণিসু ণিউ পঞ্চ সহায় কব্বু।
ণউ ভরহ ণ লক্খণু ছন্দু সব্বু।।
(প্রথম দিকের ছয় চরণ)
উপরের ৬ চরণের অর্থ :
আমি ব্যাকরণ কিছু জানি না, বৃত্তিসূত্র ব্যাখ্যা করতে পারি না। আমি পঞ্চ মহাকাব্য শ্রবণ করি নি এবং মহাকবি ভরতের সর্বপ্রকার ছন্দ লক্ষণের উপরও আমার অধিকার নেই।
৪০০০ সালের কবিতা
০৪ ঠা মে, ২০০৯ রাত ১২:৫৩
কবিতা কিংবা গদ্যর ভেতরকার সব পার্থক্য বিলীন হয়ে সকল কবিতা গদ্যর ভেতর আর সকল গদ্য কবিতার ভেতর ডুবে গিয়ে একাকার হয়ে যাবে। আমাদের লেখাঝোকার আদিরূপ পদ্যনির্ভর ছিল, যা ছিল বেজায় আভিজাত্যের প্রতীক। এরপর আমরা গদ্যেই উৎকর্ষ হয়েছি বেশি কবিতার চেয়ে, আর কবিতা এখন তুমুল গদ্যমুখি।
৪০ শতকের সরহপাগণ গদ্যে আধুনিক চর্যাগীতিকা লিখবেন; একজন হরপ্রসাদ শাস্ত্রী অথবা ড: মুহম্মদ শহীদুল্লাহ 'মেঘনাদ বধ' কিংবা 'গীতাঞ্জলি'র মমি খুঁজে বেড়াবেন বাংলা থেকে বাংলান্তরের গ্রন্থকুঞ্জে। এসব বড্ড দুষ্প্রাপ্য মহামূল্য ফসিল! একেকটা প্রাপ্তি একেকটা দিগ্বিজয় আর বিস্ময়ের ঘোর।
কখনো ভয় হয়, তাঁরা হয়তো হেসে কুটিকুটি হবেন আমাদের এ যুগের কবিতা পড়ে।
শুধ কবিতার জন্য :: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
০৯ ই মার্চ, ২০০৯ বিকাল ৩:৫২
শুধু কবিতার জন্য এই জন্ম, শুধু কবিতার
জন্য কিছু খেলা, শুধু কবিতার জন্য একা হিম সন্ধেবেলা
ভুবন পেরিয়ে আসা, শুধু কবিতার জন্য
অপলক মুখশ্রীর শান্তি একঝলক;
শুধু কবিতার জন্য তুমি নারী, শুধু
কবিতার জন্য এতো রক্তপাত, মেঘে গাঙ্গেয় প্রপাত
শুধু কবিতার জন্য, আরো দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতে লোভ হয়।
মানুষের মতো ক্ষোভময় বেঁচে থাকা, শুধু
কবিতার জন্য আমি অমরত্ব তাচ্ছিল্য করেছি।
তুমি :: নীল উপাধ্যায়
০৬ ই মার্চ, ২০০৯ রাত ৯:১০
আমার যৌবনে তুমি স্পর্ধা এনে দিলে
তোমার দু'চোখে তবু ভীরুতার হিম।
রাত্রিময় আকাশের মিলনান্ত নীলে
ছোট এই পৃথিবীকে করেছো অসীম।
বেদনা মাধুর্যে গড়া তোমার শরীর
অনুভবে মনে হয় এখনও চিনি না
তুমিই প্রতীক বুঝি এই পৃথিবীর
আবার কখনও ভাবি অপার্থিবা কিনা।
সারাদিন পৃথিবীকে সূর্যের মতন
দুপুরদগ্ধ পায়ে করি পরিক্রমা,
তারপর সায়াহ্নের মতো বিস্মরণ-
জীবনকে স্থির জানি করে দেবে ক্ষমা।
তোমার শরীরে তুমি গেঁথে রাখো গান
রাত্রিকে করেছো তাই ঝঙ্কারমুখর
তোমার সান্নিধ্যের অপরূপ ঘ্রাণ
অজান্তে জীবনে রাখে জয়ের স্বাক্ষর।
যা কিছু বলেছি আমি মধুর অস্ফুটে
অস্থির অবগাহনে তোমারি আলোকে
দিয়েছো উত্তর তার নব পত্রপুটে
বুদ্ধের মূর্তির মতো শান্ত দুই চোখে।
ছেলেটা হারিয়ে গেলো
৩০ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:২৮
ছেলেটা শান্ত হাতের মুঠোয় পৃথিবীর একগোছা ঘাস পেলেই
মাটি ও কাদার পেলবে নাকডাকা ঘুম
ডাহুকের গান, মগডালে বকছানাদের বাসা, নিঝুম দুপুরে নি:সঙ্গ ঘুঘুরা কাঁদে
ছেলেটা হারিয়ে যায় কোথায় কে জানে
ছেলেটার নাটাই আছে, বিরান রোদে বাঁশকাগজের ঢাউস ওড়ায়
ডাংগুলি আর দাঁড়িয়াবাঁধা, হা-ডু-ডু খেলে ছেলেটা
শিমুলফুলে মাথায় পাগড়ি বাঁধে
টইটুম্বুর খালে ও পুকুরে পুরোবেলা ডুবসাঁতার
ছেলেটা হারিয়ে যায়
আড়িয়াল বিলের সবুজ পাথার ছেলেটাকে বড্ড দিশেহারা করে
ছেলেটা হারিয়ে যায় কোথায় কে জানে
ছেলেটার মা নেই আমারও নেই যেমন
ছেলেটার একটা প্রিয় গাভি ছিল যেমন ছিল আমারও
ছেলেটার শান্ত শৈশব, কৈশোরের কচি দিনগুলো আমারও ছিল
ছেলেটা হারিয়ে গেলো কোথায় কে জানে
ছেলেটাকে এখন আমি প্রাণপণে খুঁজি সমগ্র শহরে, নগরে নগরে
নিষিদ্ধ নগরী
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ৯:৫৬
ইমপোটেন্স কমপ্লেক্সিটিতে ভুগতে ভুগতে একদা এক পুরুষ জনৈকা নারীর শরণাপন্ন হয়ে বললেন, 'ইমপোটেন্স কী, আমাকে বোঝাবে?'
তিনি তাঁকে কিছুদিন সাড়ম্বরে সংজ্ঞা বুঝিয়ে বিদায় জানাবার আগে বললেন, 'আবার এসো, তোমায় আমি প্রেম শেখাবো।'
প্রকাশ করা হয়েছে: কবিতা বিভাগে ।
লেখক বলেছেন:
যার জন্য ব্লগ লিখি
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:৪২
এ ভুবন অলখে ছিল; সোনালি চিরকুটে মানচিত্র এঁকে পথ দেখালি তুই
আমার ঘোর কাটে না, আড়ালে তোর মিটিমিটি হাসি
যেন এক অনুপম জয়
অনেকগুলো নিক রয়েছে তোর- বলেছিলি- অনেকেই সবগুলো জানে
আমাকে জানালি একটাই-
কী যে ছাই লিখি, আমারই প্রাণ ভরে না। আর তুই
একটা অর্থহীন পঙ্ক্তি অথবা ক্যাজুয়াল প্যারাগ্রাফ ছেড়ে দিলেই
কে কার আগে 'প্রেজেন্ট ম্যা'ম' বলে কুড়োবে তোর অমূল্য বাহবা
ব্লগসুদ্ধ পড়ে যায় হুড়োহুড়ি। কী যাদু জানিস তুই? কোন্ চৌম্বকার্ষ
তোর ভার্চুয়াল শরীর জুড়ে? ব্লগীয় মিডিয়ায়
দুরন্ত সেলিব্রেটি তুই- অদ্বিতীয়া- দূর থেকে তোকে দেখি, আর
ক্রমশ এক ইনফিরিয়র এ্যাটিচুড ঘন হতে থাকে মগজ-তন্তুতে
তবু ভালো লাগে, তোর সাথে আজও একটা সম্পর্ক রয়েছে আমার
আর মাঝে-মাঝেই ঘটে যায় 'হাই-হ্যালো' এক্সচেঞ্জ অব উইশেজ
স্বনামে আজও এলি না আমার এ পাড়ায়। তোর একটা কমেন্টের জন্য
কতোটা বুভুক্ষাপীড়িত আমি, বুঝলি না...
কতো কতো অজানা অচেনা ব্লগার
ঘুরে যায় আমার আঙিনা প্রতিদিন- হয়তো তুই- এ ভেবে দ্রুত
ঘুরে আসি ওদের ঘরবাড়ি- তোর জন্য উড়িয়ে দেয়া মোক্ষম একটা মেসেজ
এ বেলা পড়ে গেছিস, এ ভেবে অফুরন্ত প্রসাদে বিভোর হয়েছি কতোদিন
নাহ্- তোকে আমি চিনি- তোর রং, তোর আঁকিবুকি, তোর ভালো লাগা, তোর রুচি
আর তোর মন আমি চিনি- তোর মতো মেলে না কোথাও
কী এমন হতো ক্ষতি, আগুনের ফুলকির মতো ছোট্ট একটা কমেন্ট ফেলে গেলে
আমার কিছু গরীব লেখায়? বারুদের মতো তোর কমেন্ট বিস্ফোরিত হতে দেখি
অন্যদের ব্লগে; আমার বুকের ভেতর ফুঁসতে থাকে অগ্নিবর্ষী সাপ
তোর জন্য ব্লগ জুড়ে সবগুলো কথা উলট পালট ফেলে রাখি, একদিন
ঘুম থেকে জেগে সহসা স্বনামে ভ্রমবশে ঢুকে পড়বি আমার এ ব্লগে
আর সবগুলো শব্দ সাজিয়ে নিবি
আর বুঝে নিবি কতোটা রাত তীব্র জেগে থাকি- ভেসে ভেসে এসে
আমার দরজায় আলগোছে টোকা দিবি, এ আশায়
আমার কিছুই হলো না- প্রেম কিংবা কবিতা
কিছু শব্দ ছুরির মতো ছুঁড়ে মারি তোর বুক বরাবর
আহা, বড্ড নপুংশক- পানি, রংহীন, তরল- ঘায়েল করতে শেখে নি আজও
**পরিমার্জিত ও রিপোস্টেড
প্রকাশ করা হয়েছে: কবিতা, রম্য বিভাগে । সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:৪৩
লেখাটা খুব ভালো লাগল । প্রিয়তে...
লেখক বলেছেন: আপনার সাথে একমত না হয়ে উপায় নেই। সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
যাকে নিয়ে আপনার এত ভাবনা -----তার জন্যে শুভকামনা !
লেখক বলেছেন: আপনিই তাহলে সেই দরদিয়া? আমারও তাই মনে হয়েছিল, অনেকদিন থেকেই
যাক, অসংখ্য ধন্যবাদ ঢুঁ মারার জন্য
লেখক বলেছেন: আপনার পোস্টে তো ভুরি ভুরি কমেন্ট
অট : খোমা বুঝি নাই।
যাই হোক, একটা মাইনাস দিয়ে মনের আশা পূরণ করেন
একজোড়া যুবকযুবতী উপযুক্ত স্থান না পেয়ে
১০ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৫৬
অতি সরল ও পবিত্র দুই যুবকযুবতী হঠাৎ প্রেমে পড়ে গেলো, আর তারা পাপ করতে প্রাণান্ত হয়ে উঠলো।
অতি সরল মানে বোকা, যে কোনোদিন উপযুক্ত স্থান খুঁজে পায় না। অতি পবিত্র বলা যায় তাকে, যার গাত্র অদ্যাবধি সঙ্গমের স্বাদ পায় নি, অথচ বহ্নিমান শরীরে ইচ্ছেরা টগবগে
যুগলেরা সুনিবিড় স্থান খোঁজে- বাড়ির ছাঁদে, সেখানে দিনভর হৈচৈ
জঙ্গল খোঁজে, বিরান শহরে জঙ্গল কোথাও কি আছে?
পার্কে যেতে হলে যতোটুকু চাতুর্য্যের প্রয়োজন, ওদের তা নেই
ওরা 'প্রসিদ্ধ' হোটেলে যাওয়ার কথা ভেবেছিল কিছুদিন। যে হারে পুলিশের হানা পড়ে আজকাল, হাতকড়া সমেত পত্রিকার পাতায় বিমর্ষ ও লজ্জিত ছবির কথা ভাবতেই ভয়ে শিউরে উঠেছিল গা।
ট্রেনের কামড়ায়, স্টিমারের কেবিনে, .... কোথাও একটা পোড়ো বাড়ি যদি মিলে যেতো! সুবিশাল বাড়িটা একদিন জনশূন্য হয়ে যেতো যদি, ওরা বিলকুল ঘটিয়ে ফেলতো পাপ- কৃতার্থ পাপীর মতো
শেষমেষ সেই কাজটাই করতে হলো : রণে ভঙ্গ।
কিছু একটা ক্ষতি তো হলোই, লাভ হলো অনেক বেশি
ওরা রয়ে গেলো আবাল্য সরল, আর আশরীর অপঙ্কিল
প্রকাশ করা হয়েছে: কবিতা, রম্য বিভাগে ।
লেখক বলেছেন:
কাহিনী? কিছু একটা তো আছেই-
'একটি ছোট্ট ছেলে, আর একটি ছোট্ট মেয়ে,
ওরা ধরা পড়েছিল হায় পেয়ারা চুরি করে'...
লেখক বলেছেন: অতি সরল ও পবিত্র দুই যুবকযুবতী হঠাৎ প্রেমে পড়ে গেলো, আর তারা পাপ করতে প্রাণান্ত হয়ে উঠলো।
ঘটনা এর বেশি ঘটতে পেরেছে?
লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ। আমি তো আপনাদেরই মুখপাত্র, তাই না? আপনাদের সমস্যাই আমার নিজের সমস্যা বলে মনে করি
লেখক বলেছেন: তবে আজকালকার ছেলেমেয়েরা স্হান ঠিকই খুজে পেয়ে যায়। আমি আর কী এদের কথা বলছিলাম না, বলছিলাম অতি সরল আর পবিত্রদের কথা (ডেফিনিশন দেখুন ২য় প্যারায়), যারা পায় না। ফলে ওরা টক আঙ্গুর ফলের জন্য আফসোস করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে না
লেখক বলেছেন: খুব ভালো লাগলো জেনে। দোয়া করি, আপনার পরিণতি এ গল্পের মতোই যেন হয়। আমিন।
এইডাই..যারা বুজেন নাই,তাগো লাইগা..
লেখক বলেছেন: বাহ্, দারুণ একটা গল্প লিখে ফেলেছেন তো! অভিনন্দন গ্রহণ করুন
লেখক বলেছেন: হাহ হাহ হাহ খাসা বলেছেন মুওমু +এর জন্য ধন্যবাদ।
লেখক বলেছেন: হোয়াট এ সিক্রেট! কাউকে তাহলে বোকা থাকতে দেবেন না?
লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ। কিন্তু আমিতো এটাকে সনেট হিসেবে চালাতে চাইছিলাম
@ ব্লগারবৃন্দ কেউ লিটনের ফ্লাটের সন্ধান উনারে দেন। উনাকে পাপ- কৃতার্থ পাপী হওয়ার সুযোগ দিন ।
লেখক বলেছেন: লিটন কে? তিনি কি অনেক ফ্লাটের মালিক? থাক, কিনবার টাকা নাই
লেখক বলেছেন: )
১৯৭১ - আমার যুদ্ধে না যাবার কথা
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৪২
আঠার বছর বয়স,
কিংবা যে বয়সে যুদ্ধে নামে যুবকেরা, আমার তা ছিল না একাত্তরে
আমার ছিল
রঙিন ঢাউস, ডুবসাঁতার, গেছোমেছো, চড়ুইভাতি আর বেতজঙ্গলে
ঘোড়াঘাপটি খেলা দুরন্ত দুপুর
আমার ছিল
বাবার কাঁধে চড়ে পৌষসংক্রান্তিতে নূরপুরের মাঠে তুমুল ঘোড়দৌড় দেখা
আমার ছিল
শীতের ধামাইল, শানাল ফকিরের ওরস, না-বোঝা জারিসারি গান রাতভর
আমার একটা বিশাল যুদ্ধদল ছিল, অঙ্গুলি দর্শনে
আলের পর আল মাড়িয়ে ওরা ছুটে আসতো মাষকলাই পোড়ানোর মাঠে;
আমার যুদ্ধদল- চোখের ইশারায় পরনের গামছা
কিংবা লুঙ্গি একটানে ছুঁড়ে ফেলে দল্লে গাছের শাখা হতে ঝাঁকে ঝাঁকে
দিগম্বর লাফিয়ে পড়তো খালের পানিতে;
আমার যোদ্ধারা অমায়িক আর খুব বিশ্বস্ত ও বাধ্যগত ছিল; আমার অধীনে
আমার আড়িয়াল বিল ছিল,
বাহারি কচুরি ফুল, কার্তিকের ভোরে ঠেলাজালে চিংড়িপোনা-
গাবানো টেংরাপুঁটি আর টাটকিনির খলবলানিতে সকাল-দুপুর মত্তবেলা
আমার ভেলানৌকো ছিল, আর বাবার ছিল ছোট্ট ডিঙিনৌকো।
অনেক দুপুর সাঙ্গপাঙ্গদের লয়ে ভান করে ঘুমিয়েছি ভেলা আর নৌকোর পাটাতনে। আমাদের জলমান আমনক্ষেতে ভেসে থাকা লাশগুলো
কলার ভেলা আর ডিঙিনৌকোয় ঠেলে প্রতিদিন স্রোতের পানিতে ভাসিয়ে দিতেন বাবা। বাবার চোখ ছিল রুক্ষ ও অস্থির; আমি তাঁর নিত্যদিনের সঙ্গী ছিলাম।
আমার চাচা গ্রাম ছেড়ে চলে গেলেন। আমার চাচী কাঁদেন।
আমার দাদী কাঁদেন।
আমার বাবা ও চাচাতো ভাইবোনেরা কাঁদেন।
চাচা আমাকে কত্তো আদর করতেন; চাচাকে না পেয়ে আমিও কাঁদতাম;
কতোদিন গোপনে।
আমার চাচা যেদিন যুদ্ধ থেকে ফিরে এলেন
১৬ ডিসেম্বরের পর কোনো এক উজ্জ্বল সায়াহ্নে- কী ভীষণ কান্নার রোল, আর হৈচৈ-
চাচা আর বেঁচে নেই, এই ভেবে কতো আগে আমরা মনকে পাষাণ করেছিলাম।
চাচার গল্পমুখর সন্ধ্যা ছিল; আমার ছিল অবিরাম আক্ষেপ- চাচার মতো
যুদ্ধ না করতে পারার দুঃখ
আমার একটা গান ছিল, সমগ্র কৈশোরে প্রথম বোধন-
চিরদিন তোমার আকাশ তোমার বাতাস
আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি
আমার একটা পতাকা ছিল- কাড়ালের মাথায় ছেঁড়া একটি শার্ট বেঁধে ভোঁ ভোঁ উড়িয়েছিলাম উড়ন্ত মিছিলের পথে, টগবগে ময়দানে
এসব আমি কিছুই বুঝি নি কোনোদিন;
শুধু টের পেতাম, বুকের ভেতর ক্রমশ গজিয়ে উঠছে অনিবার্য ঘাস, সবুজ সবুজ কচি পাতা; স্বপ্নের মতো তুলতুলে বাংলাদেশ
*রিপোস্টেড
প্রকাশ করা হয়েছে: কবিতা বিভাগে ।
লেখক বলেছেন: আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ কবি।
বর্ণনায় নারী ও পুরুষ
২০ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:২২
পুরুষের বর্ণনায় নারীর সুন্দরীত্ব, যৌনাবেদনময়তা ফুটে ওঠে। ভিঞ্চি বা ফিদা হোসেনের নারীশিল্পকে দেখে বলে উঠি : বাহ্, কি শিল্পিত হাসি, স্নিগ্ধ চোখ! একজন পুরুষলেখক বা কবি 'স্ত্রী'লিঙ্গ, যুগল স্তন আর ভাঁজখোলা শরীরের নিখুঁত বর্ণনায় বরাবরই সোচ্চার ও পারদর্শী।
স্ত্রীরা পুরুষের মধ্যে কী খোঁজেন? তাঁদের বর্ণনায় পুরুষের প্রশস্ত বাহু, সাবলীল হাত, উন্নত শির এবং সুদৃঢ় ব্যক্তিত্বের প্রকাশই দেখতে পাই, যুগে যুগে। যদিও কেউ কেউ মৈথুনমত্ততা ও সম্ভোগে বিপুল তৃপ্তি বা অতৃপ্তির কথা সগর্বে স্বীকার করেছেন, লালসায় দেশান্তরিও হয়েছেন, তাঁদের লেখায় পুংযন্ত্রের সরস বর্ণনা সম্ভবত দেখা যায় নি;
তাহলে ব্যাপারটা কী দাঁড়ালো! পুরুষরা নারীদের লাবণ্যপিয়াসী; নারীরা সৌন্দর্য আর যৌনতার প্রতীক; পক্ষান্তরে, নারীরা একজন পুরুষের মধ্যে পৌরুষ আর ব্যক্তিত্ব খোঁজেন; নির্দ্বিধায় বলি, কাঠিন্যই পুরুষত্ব।
প্রকাশ করা হয়েছে: কবিতা বিভাগে । সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:২২
লেখক বলেছেন: ছেলেরা আগে কোন্ দিকে তাকায় সেটা আমি জানি; তাই নিশ্চিত বলা যায় ছেলেরা যেদিকে যেভাবে তাকায় তাই বর্ণনা করে মেয়েরা কি ছেলেদের মতো বর্ণনা করে? এ মুহূর্তে নির্মলেন্দু গুণের 'স্ত্রী' পড়তে ইচ্ছে করছে। তসলিমা নাসরিন কি তাঁর মতো 'পুরুষাঙ্গ' দেখতে চেয়ে বা এর বর্ণনা দিয়ে কোনো কিছু লিখেছেন? অন্তত 'ক'তেও তা নেই, যাকে অনেকে বিখ্যাত চটি-সাহিত্যও বলে থাকেন
যাই হোক, আপনার জ্ঞানগর্ভ মন্তব্যগুলো ভালো লাগছে
লেখক বলেছেন: নেভার মাইন্ড, এটা আমার কাছেও নতুন, আনকোরা, সদ্যোজাত
মেয়েদের নাকি হার্ট অ্যাটাক হয় না । ছেলেরা ব্যাঙ্গ করে বলে ওদের হার্টই নেই, তো হার্ট অ্যাটাক হবে কি করে। আর মেয়েরা বলে তারা তাদের হৃদয় তার ভালোবাসার মানুষকে দিয়ে দায়, যা ছেলেরা পারে না।
?????? আমি কনফিউজ্ড ?????
Click This Link
মাইন্ড নিবেন না।
লেখক বলেছেন: আপনি ঠিকই জানেন। মেয়েরা তাদের হার্ট ছেলেদেরকে দিয়ে দেয়, ফলে হয় কী, ছেলেরা দুটো হার্ট নিয়ে বিপাকে পড়ে যায়- একসঙ্গে দুটো হার্ট সামলানো চাট্টিখানি কথা না, অতএব ছেলেদের হার্ট ফেল মারে। আর মেয়েরা তো তাদের হার্ট ছেলেদেরকে দিয়েই খালাস
লেখক বলেছেন: বাকি অংশগুলো নিয়া সবাই আগেই গেজাইয়া গেছে
মনে রাখে নি
০১ লা জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৮:৩১
মনে রাখে নি
পউষের শেষে প্রথম পাতারা ঝরে যায় যেমনি, তেমনি সরে গেছে পুরনো বন্ধুরা
নতুন বছরের আগের রাতে
ওরা কতো সুগন্ধি ছড়াতো, হর্ষনদীর ফোয়ারা ফোটাতো
শংসাকাহিনী শোনাতো মুখর সকালদুপুরে
তারপর হেসেখেলে যেতে যেতে বলেছে কেবল ওদের কথাই
আমার কথাটি মনেও পড়ে নি
আমার কথাটি মনেও পড়ে নি
একটা জরুরি খবর
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ৭:৪৫
জরুরি খবরটা হলো :
আমি একটা প্রেম চাই
যে প্রেমের কোনো সংজ্ঞা জানে না মানুষ
আমার ই-মেইল ঠিকানা, সেল নাম্বার
বাসায় পৌঁছবার নিখুঁত ল্যান্ডমার্ক এঁকে রাখলাম
দেয়ালে দেয়ালে
সিনসিয়ারলি বলছি, আমি একটা প্রেম চাই
কেউ কি আছেন?
প্রকাশ করা হয়েছে: কবিতা বিভাগে । সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ২:১০
লেখক বলেছেন: সবকিছুর নিশ্চয়তা দিলাম। আমার অসংজ্ঞায়িত প্রেমের নিশ্চয়তা দিন এবার
লেখক বলেছেন:
এমন একটা প্রেম চাই
যা আজও মানুষের মগজে আসে নাই
এমন অলৌকিক প্রেম কোথায় গেলে পাই!
লেখক বলেছেন: জি ভাই, কিছু একটা তো করে খেতে হবে, তাই না? তো প্রেমই না হয় করি!
লেখক বলেছেন: সাবধানের মার নাই। উপদেশের জন্য ধন্যবাদ।
সন্ন্যাসী
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৩:৪৩
একদিগন্ত ঝড় মুঠোয় পুরে ছুটছে সন্ন্যাসী
সম্মুখে অগৃহের বিভা, পেছনে শূন্য ছায়া
ভুলেছে সঙ্গমের স্বাদ, অস্তিত্বের মায়া, বুকে তার
উথালপাথাল সাগরের জলরাশি
ছুটছে রাশভারি, অকাতর সন্ন্যাসী
প্রকাশ করা হয়েছে: কবিতা বিভাগে ।
লেখক বলেছেন: 'বেশ কবিতা'র জন্য অনেক ধন্যবাদ। কবিতা সংকলনের জন্য আপনার ভালো লেগেছে, ব্লগ থেকে এমন কিছু কবিতার লিংক দিয়ে হেল্প করলে খুব উপকৃত হবো।
লেখক বলেছেন: প্রিয় কবি, আমার জন্য কাজটা সহজ হতো যদি কবিতার নাম বা লিংক উল্লেখ করতেন। আশায় থাকলাম।
একই সাথে, আপনার ভালোলাগা অন্য কবিদের কবিতার লিংক দিলে উপকৃত হই।
লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ। আরও চাই। অন্যদের কবিতার লিংক দিলে উপকৃত হই।
আপনাকে কবিতা ইমেইল করেছি আপনার
ইয়াহু আই ডি-তে ।
পেলে আমাকে ইমেইল করবেন প্লিজ।
ভালো থাকুন ।
লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ ইলিয়াস ভাই, পেয়েছি।
কৃষ্ণকলি, আমি তোরেই খুঁজি
১১ ই জানুয়ারি, ২০১০ ভোর ৪:৪৪
(আকাশে একটি মেয়েকে ভাসতে দেখে)
মেয়েটা কালো, আর তাকে দেখেই মনে হলো
সে তোর মতো নয়- অবিকল তোরই ছবি যেন
অন্ধকারের ভাঁজে ভাঁজে খাঁজকাটা পুরোটা জমিন
প্লাবনে বিছানো শোক, জীর্ণ, মলিন
তার ডাগর চাহনির প্রকাণ্ড গভীরে
সমগ্র অতীত জাগালো ভোর
তারপর আরও গভীরে ঢুকে দেখি, কেউ নেই, শূন্য গৃহ তোর
প্রকাশ করা হয়েছে: কবিতা বিভাগে । সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ৭:৪৪
সমগ্র অতীত জাগালো ভোর
তারপর আরও গভীরে ঢুকে দেখি, কেউ নেই, শূন্য গৃহ তোর
++++ ভাল লাগল।
লেখক বলেছেন:
মেয়েটা কালো- ছবিটা দেখেই মনে হলো
সে তার মতো নয়, অবিকল তারই ছবি যেন
সমগ্র অতীত জাগালো ভোর
তারপর আরও গভীরে ঢুকে দেখি, কেউ নেই, শূন্য গৃহ তোর...
লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
হাসির মূল্য
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:০৮
সে কি কখনও হাসতে পারে
অল্প বয়সে যে নারীর স্বামী খুন হয়ে গেছে?
কবিতার বিবর্তন
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:১৯
সর্বশেষ সংস্করণ : অয়োময় সুপুরুষ
কিছুই নেবে না সে। তার কোনও লোভ নেই।
তার কোনও আবেগ অথবা অনুভূতি নেই।
নিঝুম অন্ধকারে গা ঘেঁষে দাঁড়ালে তার শরীরও অন্ধকারময় নিরুত্তাপ
সে খেলে না আমায় নিয়ে যেমন তার অভ্যাস
আমার অঙ্গে অঙ্গে বিপুল মাৎসর্য্য দাহন
জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাই করি তার সংসার
আমাকে সুখ দেয় অনিন্দ্য রহস্যের পরকীয়া পাপ
একটা ধারালো তরবারি তার চোখের সামনে খাপ থেকে খুলে
হাতে নেবো তুলে
আর তার নির্জন শয্যায় একটা আগুন শরীর বিছিয়ে দেবো
ভেবেছি কতোদিন
ও একটা বড্ড সুপুরুষ, সারাবেলা প্রেম দেয়
ও একটা বউপোষা কাপুরুষ, নিপাতনে সঙ্গম শেখে নি
ও এতো ভালো কেন?
ও এতো পাষণ্ড কেন, জানি না।
আমরা যাই লং ড্রাইভে, রিক্শায় সারা শহর
পার্কে, রেস্তরাঁয় ঘুরি; সিনেকমপ্লেক্সে মুভি দেখি
আলগোছে অন্ধকারে ওর হাতের আঙুল নাড়ি মুঠো ভরে
তারপর ব্লাউজের ভাঁজ গলিয়ে বুকের উপর ঠেঁসে ধরি ওর রোমশ হাত
'তামাম পৃথিবী তোর', ফিশফিশিয়ে বলি, 'এই নে! নে না! তামাম পৃথিবী তোর!'
মোমের মতো গলতে গলতে বের হয়ে এলে হাত
আমার নপুংশক প্রেমিক বলে, 'ঘরে তোর বর, আমারও একটা সাদাসিধে বউ,
থাক না এসব!'
যার সবই আছে, না চাইতেই সব সে পেয়ে যায়
সব পাওয়া যার নিয়তি, সে কিছুই নেয় না
কিছুই নেয় না সে। তার কোনও লোভ নেই।
তার কোনও আবেগ অথবা অনুভূতি নেই। ছিল না।
মাটি কিংবা পাথরের শরীর তার।
সে একটা পাষাণ সুপুরুষ।
আদিতে কবিতা (ইনস্ট্যান্ট পয়েম) : আমি তাকে সবই দিতে চেয়েছিলাম
কিছুই নেবে না সে। তার কোনও লোভ নেই।
তার কোনও আবেগ অথবা অনুভূতি নেই। ছিল না।
মাটি কিংবা পাথরের শরীর তার।
নিঝুম অন্ধকারে তার গা ঘেঁষে দাঁড়ালে তার শরীরেও অন্ধকারময় নিরুত্তাপ
সে খেলে না আমায় নিয়ে তার বউয়ের মতোন
আমার অঙ্গে অঙ্গে বিপুল মাৎশার্য্য দাহন
আমি জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাই করি তার সংসার
আমাকে সুখ দেয় অনিন্দ্য রহস্যের পরকীয়া পাপ
একটা ধারালো তরবারি তার চোখের সামনে খাপ থেকে খুলে তার হাতে দেবো তুলে
আর তার নির্জন শয্যায় একটা আগুন শরীর বিছিয়ে দেব
ভেবেছি কতোদিন
ও একটা বড্ড সুপুরুষ, সারাবেলা বউকে প্রেম দেয়
ও একটা বউপোষা কাপুরুষ, নিপাতনে সঙ্গম শেখে নি
ও এতো ভালো কেন?
ও এতো পাষাণ কেন?
আমরা যাই লং ড্রাইভে, রিক্শায় সারা শহর
পার্কে, রেস্তরাঁয়, সিনেকমপ্লেক্সে মুভি দেখি
আলগোছে অন্ধকারে ওর হাতের আঙুল নাড়ি মুঠো ভরে
তারপর ব্লাউজের ভাঁজ গলিয়ে বুকের উপর ঠেঁসে ধরি ওর লোমশ হাত
'তামাম পৃথিবী তোর', ফিশফিশিয়ে বলি, 'নে! নে না! তামাম পৃথিবী তোর!'
মোমের মতো গলতে গলতে বের হয়ে এলে হাত
আমার নপুংশক প্রেমিক বলে, 'ঘরে তোর বর, আমারও একটা সাদাসিধে বউ,
থাক না এসব!'
কিছুই নেবে না সে। তার কোনও লোভ নেই।
তার কোনও আবেগ অথবা অনুভূতি নেই। ছিল না।
মাটি কিংবা পাথরের শরীর তার।
সে একটা নিরেট নপুংশক।
পাদটীকা নিষ্প্রয়োজন নয়। একটা লেখা প্রথমে যে থিমটার উপর দাঁড়িয়ে যায়, কোনো কোনো সময় বারবার এডিট করার পর তার আদি রূপ অনেকখানিই বদলে যায়, এমনকি মূলভাবও। আমার ক্ষেত্রে এটা ঘটে থাকে। এ লেখাটা এ নিয়ে ৩য় বার পোস্ট করা হলো। মনের মধ্যে ভীষণ একটা অতৃপ্তি বা যন্ত্রণা, যা ভাবছি তা প্রকাশিত হচ্ছে না, এজন্য। ৩ বার পোস্ট করার জন্য ক্ষমা চাইছি।
প্রকাশ করা হয়েছে: কবিতা বিভাগে । সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:২৫
ভালো লাগছে। আমার কবিতার ধরণের কাছাকাছি বলে মনে হলো । আবার নাও হতে পারে । আমার কিছু কবিতা পড়ে একটু মিলিযে দেখবেন তো!
লেখক বলেছেন: দেয়ালটা কাঁচের
জট্টিল।